বাজারের একটি সাধারণ দৃশ্য হলো ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে দ্রব্যের দাম নিয়ে দর-কষাকষি করা । ক্রেতা চেষ্টা করে সর্বনিম্ন দামে দ্রব্যটি ক্রয় করতে । আবার, বিক্রেতা চেষ্টা করে সর্বোচ্চ দামে দ্রব্যটি বিক্রয় করতে। ক্রেতা-বিক্রেতার দর-কষাকষির ফলে এমন একটি দামে দ্রব্যটি ক্রয়-বিক্রয় হয়, যেখানে চাহিদা ও যোগান পরস্পর সমান । যে দামে দ্রব্যটির চাহিদা ও যোগান সমান হয়, তাকে ভারসাম্য দাম বলে । ভারসাম্য দামে যে পরিমাণ দ্রব্য কেনা-বেচা হয়, তাকে ভারসাম্য পরিমাণ বলে
উপরের রেখাচিত্রে ভূমি অক্ষে চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ এবং লম্ব অক্ষে দ্রব্যের দাম নির্দেশ করা হয়েছে। রেখাচিত্রে বাজার চাহিদা রেখা DD এবং বাজার যোগান রেখা SS অঙ্কন করা হয়েছে ।
ধরো, OA দামে চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ যথাক্রমে OE ও OH । এ দামে চাহিদা অপেক্ষা যোগানের পরিমাণ বেশি । চাহিদা অপেক্ষা যোগান বেশি হলে দাম কমবে। ফলে দাম কমে OA থেকে OP-তে আসবে । যেখানে চাহিদা ও যোগান সমান হবে। আবার দাম যদি OC হয় তাহলে যোগানের পরিমাণ OE এবং চাহিদার পরিমাণ OH । অর্থাৎ এখানে যোগানের তুলনায় চাহিদার পরিমাণ বেশি ফলে দ্রব্যের দাম অবশ্যই বাড়বে এবং দাম OP-তে গিয়ে স্থির হবে । যেখানে চাহিদা ও যোগানের পরিমাণ পরস্পর সমান। এভাবে দেখা যায়, দাম যখন OP হয়, কেবল তখনই চাহিদা ও যোগানের মোট পরিমাণ সমান অর্থাৎ OM । অতএব OP দামে চাহিদা ও যোগান সমান থাকে এবং দাম বাড়া কিংবা কমার কোনো প্রবণতা থাকে না। কাজেই OP হলো ভারসাম্য দাম এবং OM হলো ভারসাম্য পরিমাণ । R বিন্দুতে DD এবং SS রেখাদ্বয় পরস্পরকে ছেদ করে । অতএব এই R ছেদ বিন্দুতে নির্দেশিত হলো ভারসাম্য দাম ও ভারসাম্য পরিমাণ ।
আরও দেখুন...